মূল দল নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রে হোঁচট ব্রাজিলের
মেক্সিকোর বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করে দেখেছিলেন ব্রাজিলের কোচ ডরিভাল জুনিয়র। রদ্রিগো-ভিনিসিয়াসরা ক্লাব থেকে দেরিতে ফেরায় বিশ্রামে ছিলেন। এনড্রিকের শেষের গোলে যে লড়াইয়ে ৩-২ গোলের জয় পায় সেলেসাওরা।
কোপা আমেরিকার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পরের ম্যাচে মূল খেলোয়াড় দিয়েই একাদশ সাজান কোচ ডরিভাল। রদ্রিগো-ভিনিসিয়াস-রাফিনহা ছিলেন একাদশে। পাকুয়েতা-গিমারেজকে নিয়ে মিডফিল্ড সাজান। রক্ষণে মার্কুইনোস-দানিলোরা জায়গা পান।
কোপা আমেরিকার স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১-১ গোলের সমতা করেছে সেলেসাওরা। বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যামপিং ওয়াল্ড স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে ওই দুই গোল করেন দুই দলের তারকা দুই ফুটবলার।
রিয়াল কোচের মতো করে আক্রমণভাবে পরিবর্তন আনেন ডরিভাল জুনিয়র। ফর্মে থাকায় রদ্রিগোকে লেফট উইঙ্গে রাখেন তিনি। ভিনিসিয়াস স্ট্রাইকার পজিশনে খেলেন। আক্রমণাত্মক ফুটবলে ম্যাচের ১৭ মিনিটে লিড তুলে নেয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। রাফিনহার পাসে গোল করেন রদ্রিগো।
কিন্তু পরেই গোল করে সমতায় ফেরে যুক্তরাষ্ট্র। চেলসি ছেড়ে এসি মিলানে দারুণ মৌসুম কাটানো ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক ২৬ মিনিটে ব্রাজিলের জালে পাঠিয়ে দেন বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি কোন দল। তবে রদ্রিগো-ভিনি জুটি একের পর এক আক্রমণ করে ক্রস্ত করে রেখেছিল মার্কিনদের।
ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের গোল মুখে ব্রাজিল শট নিয়েছে ২৫টি। যার মধ্যে ১২টি শট মার্কিনদের গোল মুখে ছিল। কিন্তু স্বস্তির জয় এনে দেওয়া গোল পায়নি সেলেসাওরা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে তিন ফুটবলার বদলি করে আক্রমণে ধার বাড়ান ব্রাজিল কোচ। পাকুয়েতার জায়গায় পেরেইরা, রাফিনহোর জায়গায় সাভিওকে নামান। গিমারেজের বদলে এনড্রিকে নেমে স্ট্রাইকার পজিশন নিলে ভিনি ফিরে আসেন লেফট উইঙ্গে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রোল নেন রদ্রিগো। কিন্তু গোল আর আসেনি।