উমা কাজীর মৃত্যু, নজরুল শিল্পীদের শোক প্রকাশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধু উমা কাজী গতকাল রাতে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি কবিপুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী। উমা এবং সব্যসাচী দম্পতির তিন সন্তান হলেন- খিলখিল কাজী, মিষ্টি কাজী ও বাবুল কাজী।
নজরুলের অসুস্থাবস্থায় যাঁরা তার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, উমা কাজী তাঁদের অন্যতম।

উমা কাজীকে আজ বৃহস্পতিবার বনানী কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

তার মৃত্যুতে মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোর এর কাছে শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি উমা কাজীর সাথে নিজের স্মতিচারণ করে বলেন, “অনেক আগে থেকেই তার সাথে পরিচয় ছিল। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। যদিও গত ৩/৪ বছরে আমাদের সাক্ষাৎ হয়নি। একবার গিয়েছিলাম বাসায়, কিন্তু সেসময় তিনি ভারতে ছিলেন। তিনি নজরুলকে সেবা করেছিলেন বেশ আন্তরিকভাবে। যাই হোক সবাইকেইতো একদিন যেতে হবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। খিলখিলের জন্য কষ্ট হচ্ছে।”

আর হালের জনপ্রিয় নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সম্পা দাস মাল্টিনিউজটোয়েন্টিফোরকে বললেন, ” আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শেষের দিনগুলোতে, তার অক্ষম অবস্থায় উমা কাজীর সেবা শ্রুশুষার কথা সবাই জানেন। সেদিক থেকে বলতে গেলে স্বীকার করতেই হয়, নজরুলের জীবনে উমা কাজীর বিশেষ অবদান রয়েছে।”

উল্লেখ্য, উমার স্বামী কাজী সব্যসাচী একজন আবৃত্তিকার ছিলেন। তিনি ছিলেন নজরুলের বড় ছেলে। ১৯৬৬ সালে তিনি নজরুলের বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতাটি প্রথমবারের মত রেকর্ড করেন।

তাদের মেয়ে খিলখিল কাজী একজন কণ্ঠশিল্পী এবং সংগঠক। তিনি নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। তিনি তার দাদা নজরুলের জীবনকর্ম নিয়ে গবেষণা করছেন।

সব্যসাচী মারা যান ১৯৭৯ সালে। তারপর উমা কাজীসহ তাঁর পরিবার স্থায়ীভাবে ঢাকার বনানীতে থাকতে শুরু করে।

মৃত্যুকালে উমা কাজীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে তিনি বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.