গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেন প্রিয়াঙ্কা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এমনকি, ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞে সমর্থনের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ায় পশ্চিমা নেতাদেরও ব্যাপক সমালোচনা করেছেন তিনি।

রোববার (৫ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, গাজার প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজারই শিশু। বিষয়টি ভয়ঙ্কর ও অত্যন্ত লজ্জাজনক।

‘গাজার পরিবার ব্যবস্থা শেষ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অথচ তথাকথিত মুক্ত বিশ্বের নেতারা চলমান এই গণহত্যাকে অর্থায়ন ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।’

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি হলো সবচেয়ে ন্যূনতম পদক্ষেপ যা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত। না হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক কর্তৃত্ব বলে কিছু থাকবে না।

এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে তোলা প্রস্তাবে ভারত ভোট না দেওয়ায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মোদী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এমন অবস্থান মূলত বিশ্বশান্তি-বিরোধী। ভারত সরকারের এমন অবস্থানে আমি ‘হতবাক’।

গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৫০০ আবাসিক ভবন ও ৪০ হাজার আবাসন ইউনিট ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি মসজিদ, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি গির্জা ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি ভবন রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ১০৫টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, ১৬টি হাসপাতাল, ৩২টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও ২৭টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.