প্রধানমন্ত্রীকে কৃষকের উপহারের গরুর মাংস পেল ৮০০ মানুষ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া কৃষক বুলবুলের সেই গরুটি অবশেষে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই গরুর মাংস স্থানীয় অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের ৮০০ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বুলবুল আহমেদের নিজ গ্রামের বাড়িতেই গরুটি কোরবানি দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন উপস্থিত থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের হাতে মাংস তুলে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আবু তাহের বেপারির ছেলে বুলবুল আহমেদ। তিনি পেশায় একজন কৃষক। নিজের লালন-পালন করা প্রিয় গরুটি কোরবানির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তার এ অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে উপহারের গরুটি গ্রহণে সম্মতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ৯ জুন সন্ধ্যায় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তার বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। প্রধানমন্ত্রী এই বিরল ভালোবাসার খবর শুনে খুশি হন এবং উপহার হিসেবে গরুটি গ্রহণ করতে রাজি হন। এ সময় কৃষক বুলবুল আহমেদকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল গরুটি বুলবুল আহমেদের বাড়িতেই থাকবে।
ঈদুল আজহার দিন তার বাড়িতেই গরুটি কোরবানি হবে। কোরবানির গরুর মাংস স্থানীয় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে বুলবুল আহমেদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী জানান, উপহারের এই গরুটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বুলবুল আহমেদ, বাবা তাহের বেপারি ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। তার এ অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কৃষক বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার গরুটি উপহার হিসেবে গ্রহণ করায় আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই গরুটি আমার বাড়িতে কোরবানি দিয়েছি। পরে মাংস প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৬৩ জন হতদরিদ্র মানুষ ও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ মোট ৮০০ জন মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এলাকার মানুষের মধ্যে এ মাংস বিতরণ করতে পেরে আমি খুবই খুশি ও আনন্দিত।’