শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান

শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল। শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ২০ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালের ১ লা জানুয়ারী কমিশন লাভ করেন। কমিশন পাওয়ার পর তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন পেশাগত কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। একজন অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্সে, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ঢাকা থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

এম সোহায়েল একজন প্রাণবন্ত নাবিক যিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সব ধরনের জাহাজে কাজ করেন। তিনি নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস দুরন্ত, বিএনএস অনিবার্ণ, বিএনএস তামজিদ এবং বিএনএস বরকত কমান্ড করেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামুলক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমনঃ সদর দপ্তর এবং এরিয়া সদর দফতরের স্টাফ অফিসার, পরিচালক, জুনিয়র স্টাফ কোর্স, ওয়ারফেয়ার ইন্সট্রাক্টর ইন স্কুল অফ মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিকস, ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নৌ), ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি ও এনইউপি পদক লাভ করেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল র‍্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে তিনি জাতীয় গণমাধ্যমে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক অবদান রাখেন। তার অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-এ ভূষিত হন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিআইটিবি), ডিজিএফআই সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক ব্যুরো (আইএবি) এবং নৌ সদর দপ্তরের পরিচালক সাবমেরিন উভয় ক্ষেত্রে কর্ণেল জিএস হিসাবেও কাজ করেছেন এম সোহায়েল। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে যোগদানের আগে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।

চলতি বছরের ২ মে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন এবং দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.