‘অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারবেন জেলা প্রশাসকরা’
অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ এবং ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না।
এ রায়ের পর ফলে জেলা প্রশাসকদের অর্পিত সম্পত্তি লিজ দেয়ার আইনও বহাল থাকলো। রিট কারির আইনজীবী ওমর ফারুক বলছেন, তারা আপিল করবেন।
২০০১ সালে আওয়ামী লীগ অর্পিত সম্পত্তি আইন করলেও তা স্থগিত করে বিএনপি সরকার। পরে আবার ক্ষমতায় ফিরে তা পুনর্বহাল করে বর্তমান সরকার।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় যারা এদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যায়, তাদের সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে ১৯৭৪ সালে এসে সেসব সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি করা হয়।
২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে প্রথম আইন হয়, যা কার্যকর হয় ২০১২ সালে। সরকারের এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেয়া। কিন্তু এর আগেই অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে লাখ লাখ মামলা হয়।
এদিকে, ২০১২ সালে চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তি গেজেট হওয়ার আগেই তাদের অর্পিত সম্পত্তি বিচারাধীন ছিল দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারে কিনা তা নিয়েও একটি রিট দায়ের করা হয়। তবে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের আগে হওয়া অর্পিত সম্পত্তির লাখ লাখ মামলা বাতিল করে দেন।