কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলির জীবনী নিয়ে সিরিজ

কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলির জীবনী অবলম্বনে সিরিজ নিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘পিকক’।

নাম ‘এক্সিলেন্স: এইট ফাইটস’। জানা গেছে, আলির জীবনের আটটি বিশেষ লড়াই ও সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত হবে আট পর্বের এই সিরিজ। প্রতি পর্বে মোহাম্মদ আলির জীবনের একেকটি লড়াইয়ের গল্প রয়েছে, যেগুলোতে মূলত রিংয়ের বাইরে আলির আবেগ ও মানসিক দ্বন্দ্বের লড়াই দেখানো হবে।

২০১৭ সালে প্রকাশিত জোনাথন আইগের বই ‘আলি: আ লাইফ’ অবলম্বনে সিরিজটি বানানো হচ্ছে। প্রযোজনায় রয়েছেন রেগে-জেন পেজ, মরগান ফ্রিম্যান ও কেভিন উইলমট। খুব শিগগির এর দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে থাকা জিম্বাবুয়ে বংশোদ্ভূত অভিনেতা রেগে-জেন পেজ। 

মন্তব্য করপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়।

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে এটাই সম্ভবত বাংলাদেশের শেষ অংশগ্রহণ। কারণ ২০২৬ সালে আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাব, আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব।

তিনি বলেন, এই সম্মেলনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছি। একই সঙ্গে আমি ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বিভিন্ন দাবি ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করে গড়ে তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে ভোট চুরির সুযোগ নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে উন্নয়ন হয় তা প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে; এটা তো আমাদেরই স্লোগান। জনগণের ভোট যাকে খুশি তাকে দিবে। আমাদের যে আন্দোলন আগাগোড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য করেছি। জনগণের ভাতের অধিকার এবং ভোটের অধিকারের আন্দোলনও কিন্তু আমাদের করা। সেটা কিন্তু আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে আমার সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কৃষি গবেষণা উৎসাহিত করা, ২০০৯ সাল থেকে দেশব্যাপী মজবুত ও নিরাপদ ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং একইসঙ্গে স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, জৈব প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা, বৃত্তি, অনুদান প্রচলনসহ নানাবিধ উদ্যোগের কথা তুলে ধরি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে কাতার পাশে থাকবে। কাতার সফরকালে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে কোভিড অতিমারি ও চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে আমি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নিরাপদ অভিবাসন, জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিশেষ প্রয়োজনের কথা তুলে ধরি।

গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতার সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি, প্রবাসী শ্রমিকদের ইস্যুসহ দুই দেশের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে আলাপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেইখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.