এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মসূচির
আওতায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ৫,৮৯১ জন “নিম্ন এবং মাঝারি” দক্ষ কর্মী নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইপিএস কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এ বছরের বাংলাদেশি কর্মীদের (৯২ জনের) প্রথম ব্যাচের দলটির ০৩ জানুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। ওই ৯২ জনের মধ্যে ৬৯ জন একেবারেই নতুন।
২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় বাংলাদেশ থেকে ২৮,৬৯৭ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন। এ বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জনকে কোরিয়ায় নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেঃ দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য কারণ দেশটিতে গিয়ে তারা সেখানকার আইন অনুযায়ী নিশ্চিত ন্যূনতম মজুরি আয় করতে পারে।
ওদিকে, কোরিয়া টাইমস জানিয়েছেঃ ২০২৩ সালে কে-কালচার ভিসা চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। কে-কালচার ভিসা মূলত কে-পপ এবং কোরিয়ান সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী বিদেশি নাগরিকদের জন্য। ওই ভিসায় দেশটিতে নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করে তারা কোরিয়ান সংস্কৃতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণও নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কে-কালচার বা কোরিয়ান সংস্কৃতি বাংলাদেশেও বেশ দ্রুত নিজের প্রভাব বিস্তার করছে। দেশের তরুণদের একটি বড় অংশ কে-পপের (কোরিয়ান পপ) পাশাপাশি নিয়মিতভাবে কে-ড্রামা (কোরিয়ান ড্রামা) উপভোগ করে থাকেন। সুতরাং, কে-কালচার ভিসা চালু হলে বাংলাদেশে যে তা দ্রুতই জনপ্রিয় হবে, তা সহজেই অনুমেয়।