যৌবনের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সিরাজগঞ্জে মুসলিম যুব সমাজের অভিনন্দনের উত্তরে...

পদ্মা-ভাগীরথীর মত খরস্রোতা যাঁহাদের বাণী, আমি তাঁহাদের বহু পশ্চাতে।
তারুণ্যের ভরা ভাদরে যদি আমার গান জোয়ার আনিয়া থাকে, তাহা আমার অগোচরে।

যে চাঁদ সাগরে জোয়ার আনে সে হয়ত তাহার শক্তি সম্পর্কে আজও না ওয়াকিফ।

বার্ধক্যকে সবসময় বয়সের ফ্রেমে বেঁধে রাখা যায় না।
বহু ‍যুবককে দেখিয়াছি যাহাদের যৌবনের উর্দির নিচে বার্ধক্যের কঙ্কাল মূর্তি।
আবার বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি- যাঁহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যর মতো প্রদীপ্ত যৌবন।
যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে আঁকড়াইয়া পড়িয়া থাকে তাহাই বার্ধক্য।

বনের পাখির মত স্বভাব আমার গান করার।
তাহার হাসিতে গান, তাহার কান্নায় গান।

You might also like

Comments are closed.