রানির কফিন দেখতে লন্ডনের রাস্তায় লাখো মানুষ
বাকিংহাম প্যালেসে রাজা চার্লস ও রাজপরিবারের অন সদস্যরা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন গ্রহণ করেছেন। এ সময় রানির কফিন আসা উপলক্ষে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে লাখো মানুষ অবস্থান করছিল।
স্কটল্যান্ডে তার মৃত্যুর ছয় দিন পর রানি এলিজাবেথের মরদেহ তার বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে ওয়েস্টমিনিস্টার হলে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী সোমবার রানির শেষকৃত্যের আগ পর্যন্ত চারদিন তার মরদেহ সেখানে রাখা হবে।
রাজধানীর রাস্তা দিয়ে কফিন নিয়ে যাওয়ার সময় রাজা এবং রাজপরিবারের অন্যান্য প্রবীণ সদস্যরা শবযানের পিছনে নীরবে হাঁটবেন এবং তারপর ওয়েস্টমিনিস্টার পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের ১২ শতকের ক্যাভারনস হলে পৌঁছাবেন।
জনসাধারণকে বিকাল ৫টা (১৬০০ জিএমটি) থেকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। শোকাহতদের ইতোমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে যে তাদের চব্বিশ ঘন্টা পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে ধৈর্য্যের সাথে অপেক্ষা করতে হতে পারে। দর্শকদের এই ভিড় ৫ মাইল বা ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।
রানির শবযত্রা দেখতে সবার আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সম্মুখ অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভুত ৫৬ বছর বয়সী প্রশাসনিক সহকারী ভেনেসা নান্থাকুমারান বলেন, ‘এটি আবেগপ্রবণ মুহূর্ত হতে চলেছে এবং আমি জানি না প্রথম একজন হিসাবে সেখানে গিয়ে আমি কেমন অনুভব করব। আপনাকে ধন্যবাদ জানানো আমাদের কর্তব্য। এটি হৃদয় থেকে প্রার্থনা হতে চলেছে। এটি খুব দুঃখজনক, শান্ত এবং দুর্বহ বেদনাদায়ক হতে চলেছে।’
প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের মুখপাত্রের মতে, ২ লাখের বেশী লোক এই শবযাত্রায় শামিল হবে। ২০০২ সালে রানির মায়ের মৃত্যুর পর তার কফিনে শ্রদ্ধা জানাতে ২ লাখের মতো লোক সমবেত হয়েছিল। কঠোর নিয়ম মেনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে এই শোক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।