সাড়ে ৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন ৮৮৩ শ্রমিক
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৮৩ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ৪ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ২৫তম বোর্ড সভায় এ সহায়তার অনুমোদন দেয়া হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভায় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খান।
সভায় জানানো হয়, দুরারোগ্য ব্যাধিতে মৃত এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন শ্রমিকের পরিবারকে ৭৩ লাখ টাকা। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ৮১২ শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় ২৪ জনকে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৭ লাখ ৫ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, চট্রগ্রামের সিতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত, আহত এবং নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুড লিমিটেডের অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত, আহতসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ২৪৭ শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে দেয়া ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা সহয়তার অনুমোদন দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অসহায় শ্রমিকদের কল্যাণে বছরান্তে লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ দশমিক ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে দেয়ার জন্য কোম্পানি মালিকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এজন্য মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির মালিকরা যাতে এ তহবিলে লভ্যাংশ দেন সেজন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ পর্যন্ত এ তহবিলে ২৬৫টি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত জমা দিচ্ছে। বর্তমানে এ তহবিলে স্থিতির পরিমাণ প্রায় ৭১০ কোটি টাকা।