গ্রিসে বিধ্বস্ত মালবাহী বিমানে মর্টার শেল ছিল: আইএসপিআর

গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের কাভালা শহরের কাছে মালবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তরফে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, ‘সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণের মর্টার শেল বহনকারী একটি বিমান গ্রিসে বিধ্বস্ত হয়। তবে উক্ত চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং উক্ত চালানটি বীমার আওতাভুক্ত।’

রবিবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইএসপিআর।

আইএসপিআর আরো বলেছে, ‘ডিজিডিপি (ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ডিফেন্স পারচেজ) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওই প্রশিক্ষণ মর্টার শেল ক্রয় করা হয়।’

এদিকে সার্বিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিবিসির তথ্য মতে, ওই কার্গো বিমানে ১১ টন অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ইউক্রেনভিত্তিক কম্পানির পরিচালিত আন্তোনভ-১২ বিমানটি শনিবার (১৭ জুলাই) যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে, তার দুই কিলোমিটারের ভেতরে বসবাসকারীদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, আন্তোনভ এএন-১২ বিমানটিতে করে সার্বিয়ার তৈরি প্রায় ১১ টন অস্ত্রশস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মালবাহী বিমানটি ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে জর্ডান, সৌদি আরব এবং ভারতে যাত্রাবিরতির কথা ছিল। পথিমধ্যে গ্রিসের কাভালা শহরের কাছে বিধ্বস্ত হলে বিমানে থাকা আটজনই প্রাণ হারায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটিতে আগুন লেগেছে এবং এটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিশাল আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৭ জুলাই) সকালে বিমান বিধ্বস্তের স্থানটি খতিয়ে দেখতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রিসের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জায়গাটি নিরাপদ মনে না করা পর্যন্ত সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং গ্রিক অ্যাটোমিক এনার্জি কমিশনের কর্মীরা সেখানে যাবেন না।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.