আমদানির অনুমতিতে পেঁয়াজের দাম কমছে, চালও কমার আশা

দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে এ দুটি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানি করা পেঁয়াজ চলে আসায় পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি এর দাম কমেছে পাঁচ-ছয় টাকা। দ্রুত খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। আর চাল আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের মতো চালেরও দাম কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও চাল আমদানিতে আরো শুল্ক কমানোর দাবি জানাচ্ছেন আমদানিকারকরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছিল সরকার। তবে এই সুযোগে লাভবান হচ্ছিলেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে সংকট দেখিয়ে অস্থিতিশীল করা হয় পেঁয়াজের বাজার। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত সোমবার ও মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। আমদানির পেঁয়াজ দেশের বাজারে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই পাইকারি বাজারে কেজিতে পাঁচ-ছয় টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। দু-এক দিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও দাম কমে আসবে।

জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। আজ (গতকাল) পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে। দুই দিন আগেও বিক্রি হয় ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে। ’

পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় এখনো এর প্রভাব পড়েনি। জানতে চাইলে রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে, তার খবর পাচ্ছি। খুচরা বাজারেও দু-এক দিনের মধ্যে কমে যাবে। এখন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। ’

এদিকে ভরা বোরো মৌসুমেও অস্থিতিশীল চালের বাজার। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৬ থেকে ৭২ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ৬২ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এরই মধ্যে দুই দফায় সাড়ে ছয় লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে আরো অনুমতি দেওয়া হবে। আদেশে আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পেঁয়াজের মতো চাল আমদানি শুরু হলে চালের দামও কমে আসবে।

জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদন পেলেই চাল আমদানি শুরু হবে। ’

চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে ইয়ান ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা খাইরুল হাসান বলেন, ‘ভারতে চালের দাম বাড়তি, এই শুল্ক দিয়ে চাল আনা হলে বাজারে চালের দাম কমবে না, বরং আমাদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে। সম্পূর্ণ শুল্ক কমাতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। যদি সম্পূর্ণ শুল্ক না কমানো হয়, তাহলে আমদানি করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’ তিনি বলেন, ‘তবে এলসি করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, কারণ সরকার শুল্ক কমিয়ে দিলে যাতে চাল আমদানি করতে পারি। ’

অনুমতি পাওয়া আরেকটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল ট্রেডার্সের মালিক গোলাম সারওয়ার কাজল বলেন, ‘আমরা চাল আমদানি করার জন্য প্রস্তুত আছি। সরকার সম্পূর্ণ শুল্ক কমালে দেশের বাজারে কম দামে চাল সরবরাহ করা যাবে। তা না হলে দেশের বাজারে চালের দাম তেমন কমবে না। ’

এদিকে বাবুবাজার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমদানির চাল বাজারে এলে দাম নিশ্চিতভাবে কিছুটা কমবে। তবে কী পরিমাণ কমবে, তা বাজারে চাল আসার পর বোঝা যাবে। ’

কারওয়ান বাজারের ঢাকা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মো. সায়েম বলেন, ‘আমদানির খবরে চালের দাম কমেনি। আমদানির চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনাও নেই। এখন খুচরায় মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, পাইজাম ৫২ টাকা ও আটাশ চাল ৫৪-৫৫ টাকায়। চিকন চাল (মিনিকেট) ৬৬ থেকে ৭২ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ’

জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। আজ (গতকাল) পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে। দুই দিন আগেও বিক্রি হয় ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে। ’

পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় এখনো এর প্রভাব পড়েনি। জানতে চাইলে রাজধানীর জোয়ারসাহারা বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে, তার খবর পাচ্ছি। খুচরা বাজারেও দু-এক দিনের মধ্যে কমে যাবে। এখন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। ’

এদিকে ভরা বোরো মৌসুমেও অস্থিতিশীল চালের বাজার। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৬ থেকে ৭২ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ৬২ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এরই মধ্যে দুই দফায় সাড়ে ছয় লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে আরো অনুমতি দেওয়া হবে। আদেশে আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পেঁয়াজের মতো চাল আমদানি শুরু হলে চালের দামও কমে আসবে।

জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদন পেলেই চাল আমদানি শুরু হবে। ’

চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে ইয়ান ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা খাইরুল হাসান বলেন, ‘ভারতে চালের দাম বাড়তি, এই শুল্ক দিয়ে চাল আনা হলে বাজারে চালের দাম কমবে না, বরং আমাদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হবে। সম্পূর্ণ শুল্ক কমাতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। যদি সম্পূর্ণ শুল্ক না কমানো হয়, তাহলে আমদানি করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’ তিনি বলেন, ‘তবে এলসি করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, কারণ সরকার শুল্ক কমিয়ে দিলে যাতে চাল আমদানি করতে পারি। ’

অনুমতি পাওয়া আরেকটি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল ট্রেডার্সের মালিক গোলাম সারওয়ার কাজল বলেন, ‘আমরা চাল আমদানি করার জন্য প্রস্তুত আছি। সরকার সম্পূর্ণ শুল্ক কমালে দেশের বাজারে কম দামে চাল সরবরাহ করা যাবে। তা না হলে দেশের বাজারে চালের দাম তেমন কমবে না। ’

এদিকে বাবুবাজার পাইকারি চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমদানির চাল বাজারে এলে দাম নিশ্চিতভাবে কিছুটা কমবে। তবে কী পরিমাণ কমবে, তা বাজারে চাল আসার পর বোঝা যাবে। ’

কারওয়ান বাজারের ঢাকা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মো. সায়েম বলেন, ‘আমদানির খবরে চালের দাম কমেনি। আমদানির চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনাও নেই। এখন খুচরায় মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, পাইজাম ৫২ টাকা ও আটাশ চাল ৫৪-৫৫ টাকায়। চিকন চাল (মিনিকেট) ৬৬ থেকে ৭২ টাকা ও নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.