ওসি প্রদীপের স্ত্রীর আত্মসমর্পণ
দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি করন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চুমকি। এরপর জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হকের সহকারী অ্যাডভোকেট সাকিব।
এছাড়া এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে আইনজীবীরা জেরা করেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সাকিব।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ‘ওসি প্রদীপ’ ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন ও আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৬ জুলাই মো. রিয়াজ উদ্দিন ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। এ ঘটনায় একই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।