ইন্দোনেশিয়ার ধর্মমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ
ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকুত শলিল কৌমাস সারা দেশের মসজিদে লাউডস্পিকারের ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি ডিক্রি জারি করার পর দেশটির ধর্মীয় মৌলবাদীদের ক্ষুব্ধ প্রচারণার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি ওই ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, যাতে লাউডস্পিকার শুধু মসজিদের ভেতরেই ব্যবহার করতে বলা হয় এবং আযান দেওয়ার জন্য ব্যবহার করার সময় সেগুলোর ভলিউম ১০০ ডেসিবেলে সীমাবদ্ধ করতে বলা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার প্রখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য জাকার্তা পোস্ট এ খবর দিয়ে আরো জানায়ঃ
এর আগে অনেক ইন্দোনেশিয়ান নামাযের জন্য উচ্চ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তাদের ভাষ্য, উচ্চ শব্দের কারণে আশেপাশের মানুষের কাজ করতে, অবসর কাটাতে সমস্যা হয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
ওদিকে, সিএনএন ইন্দোনেশিয়া ১০০ ডেসিবেল শব্দের সাথে ৩০০ মিটার দূরে জেট প্লেন উড্ডয়নের তুলনা করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ওই ডিক্রির খসড়া তৈরি করার সময় ইন্দোনেশিয়ান উলামা কাউন্সিলের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ান মসজিদ কাউন্সিলের সাথেও পরামর্শ করেছিলেন। কিন্তু, ডিক্রিটি জারির সাথে সাথেই অনেক ইসলামিক দল প্রতিবাদ শুরু করে। মুসলিম ব্রাদারহুডের ইন্দোনেশিয়ান সংস্করণ ‘জাস্টিস পার্টি’ ডিক্রিটির বিরোধিতা করে। দলটির দাবি, সরকারের লাউডস্পিকারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত নয়। দলটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রীর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের জন্য তার প্রতি তীব্র নিন্দা জানায় যেখানে তিনি আযানের শব্দের সাথে কুকুরের ঘেউ ঘেউ করার শব্দের তুলনা করেছিলেন।
এরপর ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি শহরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর ছবি পদদলিত করে। একটি পোস্টারে তার মাথার জায়গায় কুকুরের মাথা জুড়ে দেওয়া হয়।
ডেমোক্র্যাট পার্টির রাজনীতিবিদ রায় সূর্যো জাকার্তা পুলিশের কাছে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির (ধর্ম অবমাননা) অভিযোগে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার দাবি, কুকুরের সাথে এমন তুলনা করা ইসলামের অবমাননা।
যেখানে মন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন সেই সেন্ট্রাল সুমাত্রার পেকানবারুর এক রাজনীতিবিদ আজলাইনি আগুসও তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছেন।