ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে
সিন্দুক ভেঙে প্রত্যাশিত অর্থ না পাওয়ার পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইভ্যালির সাতটি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে।
এরমধ্যে রেঞ্জ রোভার থেকে শুরু করে টয়োটা এক্সিও গাড়ি রয়েছে। সবচেয়ে দামি গাড়িটির নিলাম মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি, সবচেয়ে কম দামিটির ৯ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার দুটি জাতীয় দৈনিকে এই নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানটিতে হাই কোর্ট গঠিত পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি গাড়িগুলোর চূড়ান্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বারিধারা ‘জে’ ব্লকে ১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত বিচারপতির বাড়ির (সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পাশে) ঠিকানায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ে গাড়িগুলো প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই স্থানে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় নিলাম শুরু হবে।
আগ্রহীরা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে অফিস চলাকালীন ধানমণ্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থিত ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ হাজার টাকা (৪৫০০ টাকা ফেরতযোগ্য) পরিশোধ করে নিলাম কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিলামের তালিকায় রয়েছে একটি রেঞ্জ রোভার, একটি টয়োটা প্রায়াস, একটি টয়োটা সিএইচআর, দুটি টয়োটা এক্সিও, একটি হোন্ডা ভেজেল ও একটি টয়োটা মাইক্রোবাস। এসব গাড়ির মোট ন্যূনতম মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এরমধ্যে ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের রেঞ্জ রোভারের ন্যূনতম নিলাম মূল্য এক কোটি ৬০ লাখ টাকা, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা প্রায়াসের ন্যূনতম দর ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা সিএইচআর দর ১৮ লাখ, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা এক্সিওর দর ৯ লাখ ১৮ হাজার, ২০২১ সালের রেজিস্ট্রেশনের হোন্ডা ভেজেলের দর ১৬ লাখ ও ২০২০ সালের রেজিস্ট্রেশনের টয়োটা মাইক্রোবাসের ন্যূনতম দর ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
নানা প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এখন কারাগারে আছেন। ইকমার্স প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য সরবরাহকারী ও কয়েক লাখ ক্রেতার পাওনা রয়েছে পাঁচশত কোটি টাকারও বেশি।
এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে গাঠিত একটি পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির ন্যায্য অবসায়নে কাজ করে যাচ্ছে।