‘ঘরে ফেরা’ নামের পুনরর্থায়ন তহবিল থেকে জামানত ছাড়াই ৬ শতাংশ সুদে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন করোনার কারণে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষ। মহামারিতে চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের কাজের সুযোগ তৈরিতে সহজ শর্তে এবং স্বল্প সুদে ঋণ দিতে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়ে এ বিষয়ক সার্কুলার সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। ঋণগ্রহীতারা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধে তিন মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ দুই বছর সময় পাবেন। আর পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ তিন বছর সময় পাওয়া যাবে। এ তহবিলের অন্তত ১০ শতাংশ ঋণ বা বিনিয়োগ নারীদের দেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ তহবিল গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য এ পুনরর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তহবিল গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য এ পুনরর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শহরকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এসব মানুষের বেশির ভাগই এখন গ্রামে অবস্থান করছেন এবং মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই তহবিলের আওতায় ঋণ দেবে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকেরও এ কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে ঋণ দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো নিজেদের শরিয়াহ নীতিমালা অনুসরণ করে এ কর্মসূচির আওতায় বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগ্রহী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির পর ঋণ বিতরণ শুরু করবে। ব্যাংকগুলো এ তহবিল থেকে টাকা পাবে দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে। আর গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করবে ৬ শতাংশ সুদে। শুরুতে তহবিলের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা ধরা হলেও তা প্রয়োজনে বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে গ্রাহক পর্যায় থেকে আদায় কার্যক্রম পরেও অব্যাহত থাকবে।