মৌলভীবাজারে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ব্যবসায়ী হত্যার ২ আসামি নিহত
মৌলভীবাজারের মির্তিংগা চা বাগানে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিহত দুজন কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। নিহতদের নাম তোফায়েল (৩৫) ও শহিদ মিয়া (৪০)।
শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর ব্যাটালিয়ান কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজারের মিরতিংগা চা বাগান এলাকায় ওই দুজন র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জের চৈত্রঘাটে গত ৩১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে করে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের উইম্যান্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহত নাজমুল হাসানের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায় নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় ওই ৯ সন্ত্রাসী।
সিসিটিভি ক্যামেরাটি নাজমুলের অফিসে লাগানো ছিল। নাজমুল ফেসবুক লাইভে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল। তার দাবি, ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা করায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তার মৃত্যু হলে খুনিদের যেন সাজা হয় সেই দাবিও জানিয়েছিলেন নাজমুল।