নেতার অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার জন্য আসা রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে অভ্যর্থনা জানানোর সময় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্কিট হাউজের বেশ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী এবং সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং শফিক ভাইয়ের নামে শ্লোগান দেয়া হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে শ্লোগান না দেয়ায় যুবলীগের কর্মী আনোয়ার, তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী উত্তেজিত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে গায়ে থাকা পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোনো গ্রুপিং নেই। আজকের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো। তারা অতর্কিতভাবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর হামলা এবং তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার বলেন, সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় নেতাকে অভ্যর্থনাকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.