শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে : মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘শিক্ষার জন্য সুস্থ্য পরিবেশ’ বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে তিন দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শিক্ষার জন্য সুস্থ্য পরিবেশ’ বাস্তবায়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সরকারি, বেসরকারি ও আধাসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ মোট ৪৪৩টি প্রতিষ্ঠানে ৮, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ৩ দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কভিড-১৯ এর গণটিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেগুলোতে ১১ সেপ্টেম্বর বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা ক্লাসরুমে ফগিং ও স্প্রে করা, খেলার মাঠ ও ছাদসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর টয়লেট কিংবা অন্য কোথাও পানি জমে থাকলে সেখানে লার্ভিসাইডিং করা হবে।

তিনি বলেন, নাগরিক সেবায় ব্যবহৃত “সবার ঢাকা” মোবাইল অ্যাপস অথবা ০৯৬০২২২২৩৩৩ ও ০৯৬০২২২২৩৩৪ নম্বর হটলাইন কিংবা ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানানো হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ফগিং ও লার্ভিসাইডিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ খুবই জরুরি। তাই প্রত্যেকটি বাসাবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, “তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন”।

তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে লজ্জা পরিহার করে সবাই মিলে “দশটায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার” স্লোগানটিকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করে সুস্থ্যতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, “মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার” তাই বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.