দ্রুততম সময়ে স্কুল খুলতে দুই মন্ত্রণালয়ের যৌথসভা আজ

দ্রুততম সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এজন্য বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পুনরায় পাঠদান দেওয়ার জন্য সব রকমের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

আদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি/বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ মেনে চলতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে পুনরায় পাঠদান প্রদানের নিমিত্ত সব রকমের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দ্রুত স্কুল খুলতে আজ বুধবার এক যৌথসভায় বসতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর তা গণমাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

গত ২৬ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে আলোচনার পর আরেকটি সভা করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবিরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সভায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.