নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৮

নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রয়ের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফয়সাল মোবারক, নাসির, ওহিদুল, মামুন, রবিন, ইব্রাহিম, আবু নাঈম ও ফয়সাল। সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা, সাভার ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ বিসিক শিল্প এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম। ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে আমাদের জনজীবন যখন বিপর্যস্ত তখন একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। ঢাকা, সাভার ও পিরোজপুর জেলায় ধারাবাহিক অভিযানে এ প্রতারক চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, এ চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তারকৃত ফয়সালের নামে সাভার ও ফিরোজপুরে দু’টি কারখানা আছে।

সে ভুয়া ড্রাগ লাইসেন্স নিয়ে লাইফ সেভিং এসকল নকল ওষুধ তৈরি করে। ফয়সাল মূলত আতিয়ার নামক এক কেমিস্টের কাছ থেকে বাজারে ব্যাপক প্রচলিত নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ এর ফর্মুলা ও কমপজিশন নিতো। এরপর মিটফোর্ডের কেমিক্যাল ব্যবসায়ী মুহিব এর কাছ থেকে কেমিক্যাল সংগ্রহ করে তার কারখানায় এসব ওষুধ তৈরি করতো। এসকল নকল ওষুধ তৈরি করার পর মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপ এসকল নকল ওষুধ বাজারজাত করতো।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত নাঈম এসব নকল ওষুধের জন্য সব প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে দিতো। গ্রেপ্তারকৃত ও তাদের সহযোগীরা তৈরিকৃত এসকল নকল ওষুধ বাজার মূল্যের চেয়ে নামমাত্র মূল্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করতো। এবং ইউএসবি কুরিয়ার এসএ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ারসহ বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ওষুধ প্রেরণ করতো। এই সব সকল ওষুধ এর ইনগ্রিডিয়েন্টস এ অ্যাক্টিভ পার্টই থাকে না। এছাড়াও মেইজ স্টার্চ অত্যন্ত  নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। নন ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের এসব  কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্র এবং শ্বসনতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ সময় তাদের বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির মেশিন ও ওষুধ তৈরির ডায়াস জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কোতোয়ালি থানায় রজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.