টিকা ছাড়া বাইরে বের হওয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য প্রত্যাহার করলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের ওপরের কেউ টিকা ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে- এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের উর্ধ্বে সব নাগরিককেই পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘টিকা নেওয়া ছাড়া ১৮ বছরের উর্ধ্বে কেউ ১১ আগস্টের পর বাইরে বের হতে পারবে না’ মর্মে মন্ত্রীর যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, বক্তব্যের ওই অংশটুকু প্রত্যাহার করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এর আগে চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের ওপরের কেউ টিকা ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে একমত নয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ মুভমেন্ট করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৭ দিনে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছে। সুতরাং ভ্যাকসিন ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ রাস্তায় বের হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর ওই বক্তব্যে পর মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, টিকা নেওয়া ছাড়া ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ বাইরে বের হতে পারবে না- বলে যে সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে তা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়নি। প্রচারিত এই তথ্য সঠিক নয়।