পাকিস্তান সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং দখলের দাবি তালেবানের
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং দখলে নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। বুধবার আফগান বাহিনীগুলো গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রানজিট পয়েন্টটি কট্টরপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিয়ে আসার কয়েক ঘণ্টা পর তালেবান ওই দাবি করে।
কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোলদাক জেলার ওয়েশ নামের সীমান্তবর্তী শহরটির পতন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিকভাবে আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা ডুরান্ড লাইন সীমান্তের পাশেই শহরটির অবস্থান। খবর রয়টার্সের।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মুজাহিদিনরা কান্দাহারের ওয়েশ নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর দখল করেছে। এতে (স্পিন) বোলদাক ও চমন এবং কান্দাহারের শুল্ক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মুজাহিদিনদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।’
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারেক আরিয়ান তালেবানের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ‘সীমান্তের কাছে কিছু তৎপরতা শুরু করেছিল তালেবান সন্ত্রাসীরা। পরে তাদের চালানো আক্রমণ প্রতিরোধ করেছে আফগান বাহিনী।’ সরকারি তথ্যে দেখা যায়, পাকিস্তানকে আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী এ ক্রসিংটি দিয়ে দৈনিক প্রায় ৯০০ ট্রাক পার হয়।
আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান শফিকুল্লাহ আত্তাই জানান, তালেবান দ্রুতগতি আফগানিস্তানের সব সীমান্ত চেকপোস্টগুলোর দখল নিয়ে নিচ্ছে। বন্দরগুলো তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় আয় তাদের কাছে যাওয়া শুরু করেছে।
এদিকে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের নারী ও শিশুরা অবর্ণনীয় কষ্টের মুখে পড়তে যাচ্ছে। এটা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তাদের এই নিষ্ঠুর গোষ্ঠীর (তালেবান) শিকার হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো। এ সিদ্ধান্ত আমার মন ভেঙে দিচ্ছে।’
এমন সময় বুশ এই মন্তব্য করলেন, যখন একের পর এক জেলা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে এবং সেখানে শরিয়া আইন জারি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, তালেবান সরকারে গেলে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের যে কোনো সরকার যদি আন্তর্জাতিক আইনকানুন মেনে চলে, তবে যুক্তরাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে কাজ করবে। তবে এর বিপরীতে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, যদি তালেবান মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে লিপ্ত হয়, তবে ভেবে দেখবে যুক্তরাজ্য।