বিশ্বে ৮ কোটি ডোজ টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ কত পাবে?

বিশ্বকে করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছয় কোটি ডোজ দেওয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার রাতে আরো দুই কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে সবচেয়ে বড় টিকা দাতা হয়ে উঠবে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা ও বৈশ্বিক কভিড সাড়াদানবিষয়ক সমন্বয়ক গেইল স্মিথ এক টেলিফোনিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, কোন দেশ কত টিকা পাবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রকে তার মজুদ থেকে টিকা পাঠাতে হলে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমতি প্রয়োজন। বিশ্বের কভিড পরিস্থিতির দিকে তারা নজর রাখছেন। এ ছাড়া কোভ্যাক্সের টিকার যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণেও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জরুরি ভিত্তিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এ সপ্তাহেই ওই চিঠির জবাব আসার কথা। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৪ জুলাইয়ের আগে বিশ্বে টিকা পাঠানো শুরু করতে চায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র করোনা টিকার স্বত্ব ছাড়ের ইঙ্গিত দিলেও রাজি নয় বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০ দেশের জোট কভিড-১৯ টিকার স্বত্ব ছাড়ের বদলে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা তৈরির জন্য লাইসেন্স বিনিময়, প্রস্তুত প্রণালী ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চায়। আগামীকাল শুক্রবার ইতালির রোমে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এসংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, এই খসড়া প্রস্তাবটি পরিবর্তনের সুযোগ থাকলেও এর মধ্য দিয়ে টিকার স্বত্ব ছাড়ে সমর্থন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বাড়তি তহবিল জোগানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

এ মাসের শুরুতে বাইডেন প্রশাসন করোনার টিকার স্বত্ব সাময়িকভাবে শিথিলে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিল। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ টিকা উৎপাদনকারী অন্য দেশগুলো এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানায়। অনেকের ধারণা, করোনার টিকার স্বত্ব শিথিল হলে চীন লাভবান হবে। তাদের মধ্যে টিকা উৎপাদনের কাঁচামাল রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া, টিকা উৎপাদনের কলাকৌশল বিনিময় এবং টিকা উৎপাদকদের মধ্যে স্বেচ্ছা সহযোগিতা নিশ্চিত হলেই বরং দ্রুততার সঙ্গে বিশ্বজুড়ে টিকা উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.