হাঁপানির উপসর্গ ও সুস্থ থাকার উপায়
সারা বিশ্বের প্রায় ১.৫ কোটিরও বেশি মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তিনি এই রোগে আক্রান্ত। বায়ু দূষণের কারণে এ দেশে অ্যাজমার প্রকোপ অনেক বেশি। জেনে নিন এই অ্যাজমা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সচেতনতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁপানিতে ৮০% জন মারা যায় নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে।
অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকেরা বলেন যে, হাঁপানি জিনগত। পরিবারের কারও সমস্যা থাকলে, অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি। হাঁপানি সারানো যায় না। কিন্তু চেষ্টা করলেই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর তার জন্য দরকার সচেতনতা।
হাঁপানি থাকলে ঋতুবদলের সময়ে সচেতন থাকুন। যাদের পশুর লোমে অ্যালার্জি আছে তাঁরা, যত প্রিয় পোষ্যই হোক, তার কাছে ঘেঁষবেন না।
কিছু কিছু খাবার অ্যালার্জিও ডেকে আনতে পারে৷ তা বন্ধ করে দেয়া উচিত অবিলম্বে। ডিম, গরুর দুধ, চিনা বাদাম, সয়, গম, মাছ, চিংড়ি ও সামুদ্রিক মাছ, আখরোটে অ্যালার্জি থাকলে অ্যাজমা অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে।
ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে সঙ্গে গরম পোশাক, সোয়েটার, স্কার্ফ রাখা দরকার।
হাঁপানি আক্রান্তরা সব সময়ে ব্যাগে ইনহেলার রাখতে ভুলবেন না।
শ্বাসের টান বাড়লে অনেকে কফি বা চা খেতে পছন্দ করেন। এতে অল্প হলেও আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু কারও যদি কফি বা চায়ে সমস্যা থাকে সে ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য লবণ ফেলে, সেটি খেতে পারেন।
অল্প সরষের তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মাসাজ করতে পারেন, আরাম পাবেন।