চলমান লকডাউন এক সপ্তাহ বর্ধিত
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন জানান, চলমান লকডাউন আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সাচিবিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সরকার সারাদেশে আরও এক সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে।
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।’
এদিকে, লকডাউন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সাচিবিক বৈঠকের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কারিগরি কমিটি রোববার বৈঠক করে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে। আমরা আজ এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে সব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা শেষে করোনা রোধে লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজই এ সিদ্ধান্তের সামারি আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর যে কোনো সময় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন ঘোষণা করে গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। লকডাউন পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।
চলমান লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংক্রান্ত অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে। শিল্পকারখানা চলছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। তবে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এরও আগে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে ওই সময়ে গণপরিবহন, মার্কেট সীমিত সময়ের জন্য চালু রাখা হয়।