আফগানিস্তান থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা সরাবে যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার নতুন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। নিজেদের মোতায়েন করা এ সেনাদের চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন বাইডেন।
বাইডেনের এ ঘোষণায় গতবছর ট্রাম্প প্রশাসনের তালেবানদের সঙ্গে একমত হওয়ার পর এ বছরের মে মাস নিয়ে যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাতে ব্যর্থ হবে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য বাইডেন আগেই বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে ১ মে সময়সীমাটি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। খবর বিবিসির
বাইডেনের নতুন সময়সীমাটি ২০০১ সালে মার্কিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকীর সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও মার্কিন এবং সামরিক জোট নেটোর কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে কট্টরপন্থী তালেবান এখনও পর্যন্ত সহিংসতা না করার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হচ্ছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, তালেবানদের সতর্ক করা হয়েছে, তারা যদি সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর্যায়ে আক্রমণ করে, তবে তাদের ‘জোরালো প্রতিক্রিয়া’ জানানো হবে।
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
তালেবান জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগে তারা আফগানিস্তান নিয়ে কোনো সম্মেলনে যোগ দেবে না।
তুরস্কে আগামী মাসে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি সম্মেলন হওয়ার কথা। তালেবান অংশ না নিলে ওই সম্মেলন নাও হতে পারে।
বুধবার বাইডেনের ঘোষণার দিনই ব্রাসেলসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন নেটো মিত্রদের কাছে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের বিষয়টি অবগত করবেন বলে ধারণা রয়েছে।
আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, প্রাণ গেছে দুই হাজারের বেশি মার্কিন সেনার। ওয়াশিংটন এখন এই যুদ্ধ থেকে সরে এসে ‘সত্যিকারের হুমকিগুলোর’ দিকে মনোযোগ দিতে চায় বলে বিশ্লেষকদের মত।