ভারতে একদিনে আক্রান্ত দেড় লাখ, নতুন রেকর্ড
ভারতে গত ৪ দিন ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ১ লাখ ছাড়াচ্ছে। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে।
১ লাখ ১৫ হাজার, ১ লাখ ২৬ হাজার, ১ লাখ ৩১ হাজার এবং সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার— গত ৪ দিন ধরে এটাই দেশটির করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়িয়ে দিয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। সেই সঙ্গে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। খবর আনন্দবাজার ও এনডিটিভির।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত দাঁড়ালো- ১ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ৯২৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জনের প্রাণ কাড়ল করোনাভাইরাস। তবে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় বিপুল বৃদ্ধি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে মহারাষ্ট্রসহ হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। কিন্ত গত এক সপ্তাহে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৯৯৩ জন। ছত্তীসগড়ে প্রায় সাড়ে ১১ হাজারে পৌঁছেছে আক্রান্তের সংখ্যা।
দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে খুব দ্রুত অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। ওই দুই রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত যথাক্রমে সাড়ে ৮ হাজার এবং সাড়ে ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। কর্নাটনেও তা প্রায় ৮ হাজার। তামিলনাড়ু এবং কেরলেও তা ৫ হাজার।
মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতে তা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। রাজস্থানে আক্রান্ত ৪ হাজার ছুঁইছুঁই। পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গে তা সাড়ে ৩ হাজারের আশপাশে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সিংহভাগই হচ্ছে এই ১২টি রাজ্য থেকে। এছ়াড়াও তেলঙ্গানা, হরিয়ানার সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রাত্রিকালীন কার্ফুও চলছে। পাশাপাশি টিকাদানও চলছে জোরকদমে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৮ জনকে। এ নিয়ে দেশে ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৫ হাজার ১৬০ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।