দেশে বেশকজন রম্য লেখক তৈরি হয়েছেন, এটি পজিটিভ: আহসান হাবীব
প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হয় বইমেলা। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এই সংকটের মাঝেও বইমেলায় এসেছিলেন জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট এবং রম্য লেখক আহসান হাবীব। ঘুরে ঘুরে মেলা দেখেছেন, কিনেছেন বইও। তারই ফাঁকে কথা বলেন তিনি।
আহসান হাবীব বলেন, ‘করোনার এই সংকটের সময়ে বইমেলা যেভাবে সাজানো হয়েছে তা আমার ভালো লেগেছে। নিরাপদ দূরত্ব রেখে স্টল ঘুরে বই দেখা ও কেনার মতো ফাঁকা জায়গা রয়েছে। মেলায় মানুষের উপস্থিতি কম, এটাই স্বাভাবিক। এখন তো দল বেঁধে আসার মতো পরিস্থিতি নেই! মাস্ক পরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে সাবধানে আসতে হবে।’
বর্তমান সময়ের রম্য রচনা নিয়ে আশাবাদী আহসান হাবীব। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে রম্য লিখছেন। এক সময় দৈনিক পত্রিকাগুলো কার্টুনের পাতা বের করতো। সেখানে অনেকে রম্য লিখতেন। এতে করে রম্য লেখার প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছিল। অনেকেই ভালো ভালো রম্য লিখতেন। দেশে বেশকজন রম্য লেখক তৈরি হয়েছেন। এটি একটি পজিটিভ দিক। এক সময় সায়েন্স ফিকশন কম লেখা হতো। এখন অনেকে সায়েন্স ফিকশন লিখেন। সেরকম এখন অনেকে রম্য লিখেন।’
রম্য পত্রিকা উন্মাদ সম্পাদনা করেন আহসান হাবীব। তবে করোনা সংকটের কারণে পত্রিকাটি ভালো নেই। তা স্মরণ করে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, ‘উন্মাদ নিয়ে সবসময়ই ভাবতে হয়। আমরা জাতি হিসেবে খুবই রসিক। খেয়াল করলে দেখবেন সাধারণ কথা-বার্তার সময়েও আমরা অনেক মজার কথা বলি। পিক করতে পারলে এসব বিষয়ও লেখালেখির বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে। আমি এই কাজটি করি। যদিও করোনার সময়ে উন্মাদ একটু খারাপ আছে। দেশের হকার যারা ছিলেন তাদের অনেকে পেশা বদলে ফেলেছেন। পত্রিকার পরিবেশনটা ঠিকমতো হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ। তারপরও উন্মাদ আমরা বের করে যাচ্ছি।’
রাজনৈতিক কার্টুন খুব একটা চোখে পড়ে না—এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আহসান হাবীব বলেন, ‘না এটা আমি বিশ্বাস করি না। কার্টুনিস্টদের একটু কৌশলী হতে হয়। যাতে তারা মনের ভাবটা ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারেন। সেটা নানাভাবে প্রকাশ করা যায়। কেউ যাতে আটকাতে না পারে সেভাবেও আঁকা যায়। যারা পেশাদার কার্টুনিস্ট তারা এসব বিষয় জানেন।’