‘বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন’ নামে নতুন দল
‘বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী) থেকে বেরিয়ে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটল। নতুন এ দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেয় তারা।
আত্মপ্রকাশের সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন ফোরামের সদস্য কমরেড মনজুর আলম মিঠু। আর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিক শ্রেণির দল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ গঠন করা হয়। কিন্তু এ দলের নেতৃত্ব শ্রমিক শ্রেণির বিপ্লবী দল গড়ে তোলার নীতিগত পদ্ধতিগত সংগ্রাম অনুসরণ না করায় এ দলটি পেটি-বুর্জোয়া দল হিসেবেই থেকে যায়। তাই ২০১৩ সালে বাসদ (মার্কসবাদী) নামে শ্রমিক শ্রেণির দল গঠনের সংগ্রাম শুরু করি।
‘কিন্তু বাসদ (মার্কসবাদী) গঠনের পর অতীত রাজনীতির নির্মোহ মূল্যায়ন ও অতীতের পেটি-বুর্জোয়া রাজনীতির সঙ্গে ছেদ ঘটিয়ে শ্রমিক শ্রেণির দল গঠন প্রক্রিয়ার সংগ্রামকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহায় দিয়ে অযৌক্তিক মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও নির্ধারিত ফোরামের ১৬ জন সদস্যকে বহিষ্কার করে।’
সারাদেশের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির এ অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গত এক বছর ধরে বাসদ (মার্কসবাদী) পাঠচক্র ফোরাম নামে বাংলাদেশে শ্রমিক শ্রেণি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং অতীত দিনের পেটি-বুর্জোয়া রাজনীতির সঙ্গে ছেদ ঘটিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে শ্রমিক শ্রেণির বিপ্লবী দল গঠনের সংগ্রাম পরিচালনা করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন’ নামে একটি নতুন দল গঠন প্রক্রিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিক শ্রেণি দলের পরিপূর্ণ শর্ত পূরণের আগ পর্যন্ত এটি একটি দল গঠন প্রক্রিয়া হিসেবে থাকবে। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম পরিচালনা এবং বিদ্যমান পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার নির্মম ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই বেগবান করতে সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী।