গরমে সুস্থ থাকতে যা করতে পারেন

প্রকৃতিতে এরই মধ্যে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। কড়া রোদের দাপটে সবারই হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমে যে শুধু কষ্টই হয় এমনটা নয়, গরমের তীব্রতায় মানুষ অসুস্থও হয়ে পড়ে। এ সময় সুস্থ থাকতে পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্যাভাস, জীবনযাপন পদ্ধতি সবকিছুতেই বিশেষভাবে নজর রাখা প্রয়োজন। এ সময় সুস্থ থাকতে যা করবেন-

১. গরমের কারণে কিছু ক্ষেত্রে শরীরে সোডিয়াম-পটাসিয়ামের পরিমাণ কমে সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই রোদের মধ্যে খুব বেশি ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সব চেয়ে বেশি থাকে। ওই সময়ে বাইরে বের না হওয়াই উচিত। তবে বের হলে দুটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শরীরে যেন পানির ঘাটতি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘামের সঙ্গে যেহেতু শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়, তাই শরীরে পানির পাশাপাশি লবণও যাওয়া দরকার। এজন্য ডাবের পানি, চিঁড়া-মুড়ি ভেজানো পানি খেতে পারেন।

২.শরীর ক্লান্ত লাগলে বিশ্রাম নিন। খালি পেটে ঘুরবেন না। প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস খান। রাস্তার পাশের কাটা ফল, মশলাযুক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।

৩. সুতির জামা পড়ুন। ত্বক বাঁচাতে সানগ্লাস, সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এ সময় টুপি অথবা ছাতা ব্যবহারও করা প্রয়োজন।

৪. রোদ থেকে ঘেমে এসি ঘরে ঢুকবেন না। গরম-ঠান্ডার হেরফেরে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন । অনেকে ১৬, ১৮, ২০ ডিগ্রিতেও এসি চালান। এটা ঠিক নয়। এসি অন্তত ২৪ ডিগ্রির উপরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে ফ্যান চালান।

৫. শিশুরা অনেক সময় রোদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ করেই এসির মধ্যে ঢুকে পড়ে। কিন্তু ঘাম শুকোনোর পরেই এসির মধ্যে যাওয়া উচিত। তা না হলে গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি, জ্বর হতে পারে। সর্দি- জ্বরের পাশাপাশি শিশুরা এ সময়ে পেটের অসুখে ভোগে। এ কারণে এ সময় তাদের বাইরের খাবার না দেওয়াই ভালো।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.