‘৮ এপ্রিল থেকে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ’
বর্তমান সময়ে টিকা দেওয়ার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৪০ বছর। এ বয়স আরও কমিয়ে আনা হবে কীনা জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আপাতত ৪০ পর্যন্ত থাকবে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা আছেন তাদের বয়সসীমা নির্ধারণ করা নেই। এই তালিকার সবাইকে যখন টিকা নিশ্চিত করা হবে তখন বয়সসীমা আবার নামিয়ে আনা হবে।
আগামী ৮ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
রবিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএসএমডি) নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক্রমে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে যেন করোনা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়, সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ফ্লোরা।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো জানান, দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়ার জন্য সবাই টিকাকার্ডে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাবেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার কিছু নেই। যাদেরকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করেই পরবর্তী টিকা কার্যক্রম প্রসারিত করা হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণের উর্ধ্বগতিতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। করোনা ভাইরাস যে কোনো বয়সে যে কোনো মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমান সময়ে সংক্রমণের উর্ধ্বগতি কেন জানতে চাইলে অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা পূর্ব শর্ত, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক সময় তার শৈথিল্য দেখা যায়। এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এটা একটা বড় কারণ বলে আমরা মনে করি।
ফ্লোরার মতে, টিকা দেই বা না দেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে, সঠিকভাবে পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে এবং হাত ধোয়ার অভ্যাস চর্চা করে করোনাকে প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল আবারও সরকারি ছুটি হতে পারে কিনা -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে, তবে এখনো কোন নির্দেশনা আসেনি।
তিনি বলেন, আমাদের যদি ছুটি নিয়ে পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় বা নেয়া হতে পারে সেটা আপনাদের জানানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত একবারে উচ্চপর্যায় থেকে আমাদের কাছে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।