১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হবার নেপথ্যে
১৭ মার্চ, জাতীয় শিশু দিবস। এদিন টুঙ্গিপাড়ায় শেখ পরিবারের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় এক ‘খোকা’। পিতা শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করেন তিনি। চার বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে ছিলেন তৃতীয়। সবাই খোকা বলে ডাকলেও তার নানা নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ার গ্রামীণ সমাজের নানা সংকট-সংগ্রাম দেখেছেন। শিশুকাল থেকেই ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ করে গরীব ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুরন্ত মুজিবের সেসময় ছাত্রবাহিনীও ছিল। ফুটবল, ভলিবল ও হকি খেলায়ও ছিলেন পারঙ্গম, খেলাধুলাসহ নানা সংগঠন করে তরুণ ও যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
কালের পরিক্রমায় স্বদেশি আন্দোলনে যোগদান এবং শেরে বাংলা ও হোসেন শহীদের সংস্পর্শে এসে যোগ দেন রাজনীতিতে। গোপালগঞ্জে মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগ গঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠন করেন।
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদ্বয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের।
বাঙালি তাদের এই নেতাকে স্মরণ রাখতে তার জন্মদিনে প্রতিবছরের ১৭ মার্চ পালন করেন জাতীয় শিশু দিবস। এবার এটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। কারণ এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ পালন করছেন বাঙালি। এটি জাতির ইতিহাসের এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শকারী ও অভাবনীয় ঘটনা। অপরদিকে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।