বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দফায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে জাতীয় নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংশ্লিষ্ট মাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বলেন, ‘সারাদেশে বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছি। বর্তমানে এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপের কাজ শেষ হলে চতুর্থ ধাপে সারাদেশে সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ১২৮৪ জন শিক্ষকের সমস্যা সমাধান করছি। ইতোমধ্যে সকলের এমপিওভুক্তির কাজ শেষ হয়েছে। তবে নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন শিক্ষকের নির্ধারিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশভুক্ত বিষয় না থাকায় তারা পুনরায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এ কারণে আমরা নতুনভাবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এসব অভিযোগ পাওয়ার পর তা সমাধান করা হবে।’
বর্তমানে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে বলে জানান এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক কার্যক্রম শুরু করতে নানা ধরনের মতামত পাওয়া যাচ্ছে। একটি গ্রুপ চাচ্ছে ১৬তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশের আগে, আবার কেউ পরে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
তবে আমরা আর সময় ক্ষেপণ করতে চাচ্ছি না, নতুন করে জটিলতা না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’ তবে কবে তা প্রকাশ করা হবে এ মুহূর্তে সেই সময় ঘোষণা করা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, স্কুল-কলেজে চাহিদা অনুযায়ী শূন্যপদ পূরণ করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করেছে এনটিআরসিএ। এজন্য আদালতের কিছু আদেশ আছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে শূন্যপদের বিপরীতে এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া আবেদন প্রক্রিয়া কোন পদ্ধতিতে হবে, তার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ৫৭ হাজারের কিছু বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও নিয়োগ না পাওয়া এক হাজার ২৭০টি পদে আগের নিয়োগের ভুক্তভোগীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। বাকি প্রায় ৫৬ হাজারের মতো শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতে পারে।