নিজ গ্রামে এইচটি ইমামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের প্রথম জানাজা জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহ হেলিকপ্টারে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে উল্লাপাড়ায় সোনতলায় নিজ গ্রামে পৌঁছায়।
এরপর তাকে গার্ড অফ অর্নার প্রদান করা হয়। তার মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এইচটি ইমামের ছেলে এমপি তানভীর ইমাম।
এরপর ১১টা ৫০ মিনিটে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। নিজ গ্রামে এইচটি ইমামের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল দেখা গেছে।
এরপর সেখান থেকে দুপুর ১২টায় তাকে হেলিকপ্টারে জাতীয় শহীদ মিনারে নেয়া হচ্ছে।
মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, উল্লাপাড়ায় আকবর আলী সরকারি কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত উপদেষ্টা এইচটি ইমামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
তিনি জানান, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে ৩টা ৩০মিনিট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এ রাজনৈতিক উপদেষ্টা বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এইচটি ইমামের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচটি ইমামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার রাত ১টা ২৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম রাত ১টা ১৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরে জানানো হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা এইচটি ইমাম ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।