শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাথমিকের ৪৮ হাজার শিক্ষককে যেতে হবে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে
৮৭ কোটি টাকার শিক্ষা সহায়তা পেলো শিক্ষার্থীরা
৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ‘ভাগ্য নির্ধারণ’
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও আর্থিক অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। এটা কষ্টকর ব্যাপার। তবে আমরা আশা করছি যে আগামী ৩০ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সক্ষম হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বে যত শিক্ষক-কর্মচারী আছে সকলকেই টিকা নিতে হবে। সেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি এবং এই টিকা সবাইকে দেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ডব্লিউএইচও নির্দেশ মোতাবেক যে বয়স পর্যন্ত টিকা দেওয়া যাবে না তার উপরের বয়সের যারা সেই সব শিক্ষার্থীদেরকেও টিকা দেওয়া হবে। কাজেই আমরা সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকুক সেটাই আমরা চাই।’

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কওমি মাদ্রাসা খুললেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও ছুটি চলছে। তবে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এখনই প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। বাকি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবো। আগেও যেভাবে বলেছি- প্রথমেই প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণিকে প্রতিদিন হয়তো স্কুলে আনা হবে। আমরা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে প্রতিদিন আনব। বাকি ক্লাসগুলোর শিক্ষার্থীরা হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে। কয়েক দিন পর থেকে তারা সপ্তাহে দু’দিন আসবে। পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।

দীপু মনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে অন্যান্য যে প্রস্তুতি সেগুলো আমাদের নেয়া হয়েছে। আশা করছি- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেয়ার বিষয়টিও সমাপ্ত করতে পারব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোথাও কোথাও যদি মেরামত ও সংস্কারের দরকার হয়। আপনারা জানেন- বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে আমরা বলেছি- ১৭ মে হলগুলো খুলে দেয়া হবে, এর আগেই সংস্কার-মেরামত কাজ করা হবে। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিডব্লিউডি- এদের সকলের মাধ্যমে মেরামতের কাজগুলো সম্পন্ন করব।

তিনি আরো বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে সব জায়গায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্যবিধিগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, যে নোটিশগুলো থাকা দরকার সেগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে কিনা- সেগুলো তারা দেখবেন। আর আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যারা মাঠ পর্যায়ে আছেন তারাও এই বিষয়গুলো মনিটর করবেন।

এছাড়া এসএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ে পিছিয়ে যেতে পারে বলে এ সময় ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.