নেপালে বিজেপি সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান
সম্প্রতি আবারো বেফাঁস এবং হাস্যকর মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রবিবার এক জনসমাবেশে দাবি করেছেন, শুধু ভারতেই নয়, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাতেও বিজেপি সরকার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপির সাবেক প্রধান এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিপ্লব বলেন, ‘অমিত শাহ ত্রিপুরা সফরে এসে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বিজেপি সরকার তৈরির বিষয়ে আলোচনা করে গিয়েছেন। ভারতে সর্বাধিক রাজ্যে ক্ষমতা দখলের পরই এই পদক্ষেপ নেয়া হবে।রাজ্যের অতিথি নিবাসে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। তখন বিজেপির উত্তর–পূর্বের আঞ্চলিক সম্পাদক অজয় জামওয়াল বলেন, ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই সরকার গড়েছে বিজেপি। এই কথার জবাবেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন এখনও শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল বাকি। ওই দুই দেশে আমাদের দলকে সম্প্রসারণ করে, জিতে সরকার গড়তে হবে। কমিউনিস্টদের দাবি তারা বিশ্বজোড়া রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট পার্টির সরকার চলছে। কিন্তু এখন বিজেপি বিশ্বের বৃহত্তম দল। আগরতলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, নেপাল–শ্রীলঙ্কার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিপ্লবের এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে খোদ ভারতের নেটিজেনদের মধ্যেও। হিন্দুস্তান টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমন বক্তব্যে ‘সবখানে হাসির রোল উঠেছে।’
এই যখন অবস্থা তখন কি বলছে নেপাল আর শ্রীলঙ্কা? সোমবার কাঠমান্ডু টাইমস এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছেঃ
এরপরই (বিপ্লবের বক্তব্যের পর) নেপালিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এর বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। মন্তব্যগুলোতে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে নেপাল থেকে দূরে রাখতে বলা হয় এবং ওই বক্তব্যকে ‘ফালতু কথা’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
একজন টুইটারে লেখেন, কোনো সার্বভৌম দেশের সাথে কি এমনটা করা সম্ভব? নাকি জনগণের মনোভাব খতিয়ে দেখার জন্য এটি কেবলই একটি রাজনৈতিক কার্ড? কেউ কেউ আবার বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে বিজেপির প্রধান করা উচিত যদি বিজেপি নেপালে তার নতুন শাখা খুলে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এ জাতীয় মন্তব্য এটাই প্রথম নয়। তবে সম্ভবত এই প্রথম তার বিতর্কিত মন্তব্য জাতীয় সীমানা অতিক্রম করেছে।