‘দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতু হবে বাংলাদেশ’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ দেশটিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাঝে একটি সেতুতে পরিণত করবে বলে মনে করছেন ভূ-রাজনীতি বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় পুলিপাকা এবং মোহিত মুসাদ্দী।

এশিয়া টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখকরা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তারা বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে ২০২১ সালে। ২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, এই প্রবৃদ্ধি এসেছে মূলত রপ্তানির ওপর ভিত্তি করে। রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হলেও এই এক শিল্প ঘিরেই রপ্তানি সীমাবদ্ধ নয়। পোশাকের পাশাপাশি এখন মাছ ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে কৃষি খাতও এক্ষেত্রে দ্রুত এগোচ্ছে।

পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখ করার মতো- একথা উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এগিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকা তাদের সঙ্গে সেভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেনি, যেটা ইসলামাবাদ করেছে।

বাংলাদেশ এখন যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সে বিষয়গুলো উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধর্মীয় মৌলবাদ, যা প্রতিবেশী দেশ বা বৃহত্তর ভূ-রাজনীতি থেকে উৎপত্তি হয়নি। উদাহরণ হিসেবে তারা ২০১৬ সালের জুলাইয়ে হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে, যে ঘটনায় প্রাণ যায় ২২ জনের।

নিবন্ধে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলা করা জরুরি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.