ট্রাম্পের টুইটার স্থায়ীভাবে বন্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইট একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। তিনি টুইট করে আরো সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারেন এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে এ কাজ করেছে তারা। টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একাউন্টের সাম্প্রতিক টুইটগুলো নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কিছু আইন প্রণেতা এবং সেলিব্রেটি ট্রাম্পের টুইট একাউন্ট বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার টুইট করেছেন সাবেক ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। তিনি এতে বলেছেন, সিলিকন ভ্যালির এই জায়ান্টদের উচিত ট্রাম্পের ভয়ানক আচরণ বন্ধ করা এবং তাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ট্রাম্পের ‘দেশপ্রেমিকরা’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল ভবনে হামলা চালানোর পর বুধবার ১২ ঘন্টার জন্য ট্রাম্পের একাউট স্থগিত করে রাখে টুইটার। ওইদিন তার কয়েক শত সমর্থক ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করে তা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে।
তারা সেখানে নৈরাজ্য চালায়। ভাঙচুর করে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অফিস। তান্ডবলীলা চালায় সর্বত্র। এ ঘটনায় সেখানে কমপক্ষে চারজন বেসামরিক ব্যক্তি ও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ওই সময়ে টুইটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ট্রাম্প যদি আবারও টুইটারের আইন লঙ্ঘন করেন তাহলে তার একাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। এরপর একাউন্ট খুলে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুটি টুইট করেন ট্রাম্প। একটিতে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে সাত কোটি মহান দেশপ্রেমিক আমাকে, আমেরিকা ফার্স্ট এবং মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তারা তাদের দাবি জোরালো করবেন। তাদেরকে যেকোনো উপায়ে, যেকোনো আকারে অথবা যেকোন ফর্মে অসম্মান করা যাবে না। তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা যাবে না।
টুইটার বলেছে, এই টুইটের মাধ্যমে ট্রাম্প ভবিষ্যহেতর জন্য এমন একটি ইঙ্গিত দিতে যাচ্ছেন যে, তিনি নিয়মমতো ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিকল্পনা নেননি। দ্বিতীয় টুইটে তিনি লিখেছেন, সেইসব ব্যক্তিদের প্রতি, যারা আমাকে ২০ শে জানুয়ারি শপথ গ্রহণের দিনে উপস্থিত না হতে বলেছেন। টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি তার সমর্থকদের আরো তথ্য দিচ্ছেন যে, নির্বাচনের ফল বৈধ ছিল না। তার এ দুটি টুইটই ‘গ্লোরিফিকেশন অব ভায়োলেন্স পলিসির’ লঙ্ঘন।