জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার যৌথভাবে পেলো ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’
২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এতে যৌথভাবে সেরা চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’ চলচ্চিত্র দুটি। একই সঙ্গে অভিষেক ছবিতেই সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ‘ন ডরাই’ এর অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। আর আবার বসন্ত সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন তারিক আনাম খান।
বৃহস্পতিবার এসব চলচ্চিত্র ও কলাকুশলীদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা।
তবে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার না পেলেও অন্যান্য ২৬টি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছে মাসুদ পথিক পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রের পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্রটির অভিনয়শিল্পী নারগিস আক্তার, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন, যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ গায়িকা মমতাজ ও ঐশী, শ্রেষ্ঠ গীতিকার কামাল চৌধুরী (যুগ্মভাবে), যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ সুরকার প্লাবন কোরেশী ও তানভীর তারেক, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুদ পথিক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদ হালিম ও শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মো. রাজু।
আর যৌথভাবে সেরার পুরস্কার পাওয়া ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রটির ঝুলিতে গেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬টি পুরস্কার। সেরা চলচ্চিত্র ও সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার ছাড়াও শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন তানিম রহমান অংশু, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার মাহবুব উর রহমান, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সুমন কুমার সরকার ও শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ।
আর ‘ফাগুন হাওয়ায়’ পাচ্ছে ৩টি পুরস্কার; যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার ছাড়াও পার্শ্ব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে ফজলুর রহমান বাবু, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জায় খন্দকার সাজিয়া আফরিন পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়াও পুরস্কার পাচ্ছেন-
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে – জাহিদ হাসান (সাপলুডু)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী (যুগ্মভাবে) – নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক – হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ গায়ক – মৃনাল কান্তি দাস (শাটল ট্রেন)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্মভাবে)- কামাল চৌধুরী (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও কবি নির্মলেন্দু গুণ (কালো মেঘের ভেলা)।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা – জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক (যুগ্মভাবে) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র – যা ছিলো অন্ধকারে (বাংলাদেশে টেলিভিশন)
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- নারী জীবন (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট)