ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে সুপারিশ জমা দেবে। সেই সুপারিশের আলোকেই উৎসবমুখর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনেকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আন্তরিক। আমরা চাই, সবার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ঐক্য তৈরি হোক। সবার মধ্যে এ ব্যাপারে যেন চুক্তি বা সমঝোতার মতো কিছু হয়।
চারুকলা ভবন
এ বছর ১৩০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিয়েছেন ৬ হাজার ৯৩ শিক্ষার্থী। প্রতি আসনে ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারুকলা ইউনিটে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়। তবে ওই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছিল। ওই নির্বাচনে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে ডাকসুর ভিপি পদে নির্বাচিত হন নুরুল হক আর সমাজসেবা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আখতার হোসেন। প্রথমে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পরে তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ডাকসু ভবন
ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ২৫ পদের অন্য ২৩টিতে জিতেছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ। তাদের মধ্যে জিএস পদে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে একই প্যানেলের সাদ্দাম হোসেন নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ১৮ হল সংসদের মধ্যে ১২টিতে ভিপি ও ১৪টিতে জিএস পদে জেতে ছাত্রলীগ। অন্য পদগুলোয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। ডাকসু ও হল সংসদের সর্বশেষ কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে।

Comments are closed.