বিনামূল্যে দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হলো ‘একজন মহান পিতা’ চলচ্চিত্র
মো.ইউসুফ আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক, কেরাণীগঞ্জ- বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটি পটভূমির উপর নির্মিত চলচ্চিত্র একজন মহান পিতা। বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের দেখার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছবিটির প্রযোজক ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ শাহ আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলম মাল্টি মিডিয়ার কর্ণধার শেখ শাহ আলম বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনের একটি মানবিক উল্লে¬খযোগ্য পটভূমি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপর নির্মিত ইতিহাস ভিত্তিক বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা’। চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালে ১৮ ডিসেম্বর দেশের বেশ কিছু পেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া হইয়েছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের চলচ্চিত্রটি বানজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়নি। সেহেতু আমরা চাইবো নতুন প্রজন্মসহ সবাই এ চলচ্চিত্রটি দেখুক এবং জানুক যুদ্ধপরবর্তী নিপীড়িত নারীদের প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কিছু মানবিক সিদ্ধান্ত। তাই এই শোকের মাসে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রাথমিক ভাবে আগামী ১৪ আগস্ট রাত ৮ টায় আলম মাল্টিমিডিয়া ইউটিউব চ্যনেলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হবে। এবং দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হবে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনেও খুব শীঘ্রই ছবিটি স¤প্রচার করা হবে বলেও জানান এই চিত্র প্রযোজক।
নবাগতা হিমেল রাজ ও মির্জা আফরিন জুটির প্রথম ছবি একজন মহান পিতা। যেখানে একজন বিরঙ্গনার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন আলম মাল্টি মিডিয়ার কর্ণধার চিত্র প্রযোজক শেখ শাহ আলম নিজেই। ছবিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে চিত্র প্রযোজক শেখ শাহ আলম বলেন,মহান মুক্তি যুদ্ধ শেষে এদেশের লাখো বিরঙ্গনাদের পিতাও যখন মেনে নিতে চাইছিলেন না এসকল বিরঙ্গনাদের। ঠিক তখনই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাদেরকে নিজ কন্যা হিসেব স্বীকৃতি দিয়ে বজ্র কন্ঠে বলেছিলেন আমিই বিরঙ্গনাদের পিতা। তাই তার নিজের প্রযোজিত ছবিতে বিরঙ্গনাদের পিতা হিসেবে অভিনয় করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন বলেও জানান বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি শেখ শাহ আলম। ছবিটি সবাইকে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
চলচ্চিত্রটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। তার সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাজিব,মির্জা আফরিন ও রাশেদ রেহমান।