৮৯তম জন্মদিবসে বীরকন্যা প্রীতিলতাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ
চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে শহীদ বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।
গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ধলঘাট প্রীতিলতা কমপ্লেক্সে অবস্থিত বীরকন্যার আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় প্রীতিলতা ট্রাস্ট, প্রীতিলতা বিপ্লবী দল, ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদ, পটিয়া গৌরব সংসদ, পটিয়া স্পোর্টস ক্লাব ও পটিয়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে। এর মধ্য দিয়ে সূচনা হয় দিবসের কর্মসূচির।
এ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আয়োজন করা হয় আলোচনাসভার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি। প্রীতিলতা ট্রাস্ট সভাপতি পংকজ চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইবি চট্টগ্রাম সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর সেন, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ব্যবস্থাপক সত্যজিৎ দাশ রুপু, ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রনবীর ঘোষ টুটুন।
আজীবন সদস্য প্রবোধ রায় চন্দনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ইলমার সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, আমেনা রহমান লিপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংবাদিক ডেইজি মওদুদ, মিলন কান্তি দে, শুভ্রা বিশ্বাস, কবি শাওন নান্থ, শামিম আরা লুসি, রাজ কুমারী ডুনাহি প্রু নেলী, বিশ্বজিৎ দেব দেবু, মিন্টু দাশ, বিজয় ঘোষ, মো. আলী রঘুনাথ চক্রবর্ত্তী, কৃষ্ণা চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক সুজিত চৌধুরী শিউলি চক্রবর্ত্তী, গৌতম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার বলেন, মাতৃভূমিকে বৃটিশ শাসন ও শোষণ থেকে মুক্ত করার জন্য সেদিন বীরকন্যা প্রীতিলতা একজন নারী হয়েও বিপ্লবীদের সঙ্গে স্বাধীন স্বদেশ গড়ার যে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তা যুগে যুগে সমগ্র পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রীতিলতার নামে পটিয়ার ধলঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে এ কেন্দ্র পরিচালনা কঠিন হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে তাঁরা অবিলম্বে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করে আগামী প্রজন্মকে সংস্কৃতিবান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।