৭ জেলায় বন্যার শঙ্কা

ভারী বৃষ্টিতে ৭ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে, এমন শঙ্কা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, নদ-নদীর বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি সমতল বেড়েছে। আগামী দুদিনে এসব নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।

এর ফলে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি ফেনী জেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এই সময়ে চট্টগ্রাম জেলায় ফেনী নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে, ফলে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তৃতীয় দিনে পানি সমতল কমে আসতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানি সমতল বেড়েছে, তবে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কিছুটা কমেছে। আগামী তিন দিনে এসব নদীর পানি আবারও বাড়তে পারে। এর ফলে তিস্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হয়ে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগের কংস নদীর পানি কমেছে। তবে সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী তিন দিনে এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার অংশে পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হয়ে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়াও বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় উঁচু জোয়ার দেখা দিচ্ছে। আগামী দুইদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে এই পূর্বাভাসে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের বিষয়ে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজকে রাত নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

You might also like

Comments are closed.