৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারাল বাংলাদেশ
এএফসি নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এই জয়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়েছে লাল-সবুজের নারী প্রতিনিধিদের। এর আগে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিলেন আফাইদা খন্দকারের দল।
বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুওয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মিয়ানমারের জালে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বাংলাদেশকে প্রথম লিড এনে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া ফ্রি কিক মিয়ানমারের রক্ষণ দেয়ালে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে স্বাগতিকদের রক্ষণ ও গোলরক্ষক উভয় পরাস্ত করেন তিনি।
ঋতুপর্ণা গোল করলেও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রী কিক পাওয়ার পেছনে অবদান শামসুন্নাহারের। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে তিনি একাই বক্সে প্রবেশ করছিলেন। মিয়ানমারের দুই ডিফেন্ডার তার গতির সঙ্গে পেরে উঠেননি। বক্সের ঠিক আগে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজালে ফ্রি কিক পেয়েছিল সফরকারীরা।
গোল পাওয়ার পর খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিট অবশ্য বাংলাদেশের উপর অনেক চাপ তৈরি করে মিয়ানমার। একবার বাংলাদেশের জালে বলও পাঠিয়েছিল। তবে অফসাইডের কারণে রেফারি সেই গোল বাতিল করে। এরপর মিয়ানমারের একটি আক্রমণ ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।
বাংলাদেশ ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে। গোল করেছে ৯টি। নিজেদের জালও অক্ষত রেখেছে। আগামী শনিবার বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। যাদের এই মিয়ানমার ৮-০ গোলে হারিয়েছিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ যেকোন গোল ব্যবধানে জিতলে, এমনকি ড্র করলেও প্রথমবার এশিয়া কাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়বে।
মিয়ানমারকে হারানো অবশ্য বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য সহজ ছিল না। র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ৫৫তে। বাংলাদেশ আছে ১২৮তম অবস্থানে। নিজেদের মাঠে খেলছে তারা। ২০১৮ সালের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বিপক্ষে থাকা এসব সংখ্যা অতিক্রম করে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।

Comments are closed.