২ জুলাই: ঢাকা থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের মুহূর্ত গত বছরের জুলাই। ২০২৪ সালের ২ জুলাই, মঙ্গলবার। কোটা সংস্কারের দাবিতে জুলাই আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন। ওই দিন রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সংগঠিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে।

২ জুলাই শাহবাগ এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। তাদের দাবি, হাইকোর্ট কর্তৃক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে। এদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ২০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। দিন যতই পার হচ্ছিল উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ। যা ধীরে ধীরে পরিণত হয় শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে।

এদিন রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সংগঠিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদ গড়ে তোলে তারা।

দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয় দিনের মিছিল। এর পর শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগে গিয়ে অবস্থান নেয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তারা শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তাদের বজ্রকণ্ঠে শোনা যায় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান।

২ জুলাই থেকেই সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি, গুজবের ভয় এবং সরকারপক্ষীয় ‘মিথ্যা প্রচারণা’র ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। সরকারের একাধিক মন্ত্রী তখনো বলেছিলেন, ‘এটি বিএনপি-জামায়াতের প্ররোচণা।’ কিন্তু গ্রাউন্ড রিপোর্ট বলছে, অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই ছিলেন ছাত্র ও চাকরিপ্রার্থী যাদের একমাত্র পরিচয় ‘শিক্ষার্থী’।

You might also like

Comments are closed.