২০ জানুয়ারির পর ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ করা হতে পারে

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। টুইটারের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনকে একথা বলেছেন।

ট্রাম্প টুইটারে করোনাভাইরাস নিয়ে লাগাতার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং নির্বাচনে জালিয়াতি সম্পর্কে মিথ্যা দাবি প্রচার করছেন, (যেগুলো দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং বিচার বিভাগের নির্বাচন কর্মকর্তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন) যে কারণে টুইটারকে ‘সত্যতা যাচাই করতে’ এবং নির্দিষ্ট টুইটের উপর সতর্কতার লেবেল লাগাতে বাধ্য করছে।

কিন্তু টুইটারের ‘ওয়ার্ল্ড লিডার নীতি’র আওতায় পড়ায় এতোদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। ওয়ার্ল্ড লিডার নীতির আওতায় সাধারণত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেমন- প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শাসকরা পড়ে থাকেন। এদের মধ্যে যাদের যথেষ্ট সংবাদ-মূল্য আছে তারা টুইটারের কিছু নিয়ম ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সেই সুবিধাই ভোগ করে আসছেন ট্রাম্প।

যদিও গত কয়েক মাসে ডনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু টুইটে সতর্কতা চিহ্ন যোগ করে গোপন করে রাখে টুইটার। সতর্কতা পড়ার পর আগ্রহীরা চাইলে ক্লিক করে সেসব পোস্ট দেখতে পেতেন। কিন্তু তাতেও ট্রাম্পকে থামানো যাচ্ছে না।

“জানুয়ারির ২০ তারিখের পর থেকে ট্রাম্প আর ‘ওয়ার্ল্ড লিডার নীতি’র আওতায় পড়বেন না। সাধারণ নাগরিকদের মতোই তাকে টুইটারের বিধিমালা মেনে চলতে হবে”, টুইটারের ওই মুখপাত্র বলছিলেন।

মুখপাত্রের ওই কথার মানে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর ওইসব বিধিমালা না মানলে তাকে মারাত্মক সব ‘শাস্তি’ দেয়া হবে। এরপর এক পর্যায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হবে।

উল্লেখ্য, নিয়মিত পোস্ট করার কারণে টুইটারে খুব জনপ্রিয় ট্রাম্প। টুইটারে তাকে অনুসরণ করছে আট কোটি সাতাশি লাখ ব্যবহারকারী।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.