১৪ ডিসেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে

সময় প্রবহমান। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। কালের ধারায় এসব ঘটনা একসময় অতীত ঘটনা বা ইতিহাসে পরিণত হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই সব ইতিহাস চিন্তাচেতনা ও প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে।

ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনার ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪। আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।  একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া আরও উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা।

ঘটনাবলি

১১২৪ – থিওবাল্ড বুক্কাপেকাস পোপ নির্বাচিত হন।

১৫৬৮ – রাজকুমারী মেরি স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রানি হন।

১৫৭৫ – ইস্টভান বাথোরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন।

১৬৫৬ – প্রথম কৃত্রিম মুক্তা তৈরি করা হয়।

১৮০৫ – ফসিল জ্বালানি হিসেবে পাথুরে কয়লার তীব্র তাপ শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।

১৯০১ – বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাংক কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।

১৯০৩ – বিমান আবিষ্কারকারী রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উত্তর ক্যারোলিনায় প্রথম আকাশযান উড্ডয়নের প্রচেষ্টা চালান।

১৯১১ – নরওয়েজীয় অভিযাত্রী রোল্ড আমুন্ডেসন ওলাভ জালান্ড, হেলমার হ্যানসেন, স্ভেরে হ্যাসেল ও অস্কার উইস্টিংকে নিয়ে গড়া তার দল নিয়ে প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে।

১৯১৫ – জ্যাক জনসন কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে প্রথম হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধে বিজয়ী হন।

১৯১৮ – ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে নারীরা সর্বপ্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

১৯৪৬ – আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

১৯৪৬ – জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নিউইয়র্কে সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে ভোট দেয়।

১৯৪৭ – রোমানিয়া প্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত হয়।

১৯৫৫ – আলবেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জর্ডান, লাওস, লিবিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও শ্রীলঙ্কা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৬০ – সোমালিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬১ – তাঞ্জানিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১৯৮১ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ অধিকৃত গোলান মালভূমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে।

১৯৯৪ – সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চীনের তখনকার রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী লি ফেং সারা বিশ্বের কাছে ‘ইয়াংসি নদীর তিন গিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু’ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

১৯৯৫ – প্যারিসে বসনীয় শান্তিচুক্তি (ডেইটন চুক্তি) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৯৬ – বাংলাদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন।

১৯৯৯ – কিরিবাশ, নাউরু ও টোঙ্গা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

জন্ম :

১৫০৩ – নসট্রাদামুস, ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা।

১৫৪৬ – টাইকোব্রাহে, ড্যানীয় জোতির্বিদ ও রসায়নবিদ।

১৬২৬ – গো-সুজাকো, জাপানের সম্রাট।

১৮৭৮ – হরিহর শেঠ, সাহিত্যিক ও ইতিহাসবেত্তা।

১৯১২ – হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সংগীতশিল্পী ও সুরকার।

১৯২২ – নিকোলাই বাসভ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ।

১৯২৪ – রাজ কাপুর, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও হিন্দি চলচ্চিত্রের পরিচালক।

১৯৩৪ – শ্যাম বেনেগল, ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯৪৬ – এন্টোনি বিভোর, ইংরেজ ঐতিহাসিক।

১৯৫৩ – বিজয় অমৃতরাজ, ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়, ক্রীড়া ভাষ্যকার ও অভিনেতা।

১৯৫৪ – মাকসুদুল আলম, বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ, পেঁপে, রাবার, পাট এবং ছত্রাক জিনোম উদ্ভাবক।

১৯৬৭ – সন্দীপ গোস্বামী, ভারতীয় বাঙালি কবি, সমালোচক।

মৃত্যু :

১১৩৬ – চতুর্থ হেরাল্ড, নরওয়ের সম্রাট।

১৫৪২ – পঞ্চম জেমস, স্কটল্যান্ডের রাজা।

১৭৯৯ – জর্জ ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৬ – ইয়োসেফ ব্লক, জার্মান সমাজতান্ত্রিক সাংবাদিক।

১৯৭০ – কুমুদরঞ্জন মল্লিক, বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ।

১৯৭১ – মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড-

– শহীদুল্লাহ কায়সার, লেখক।

– মুনীর চৌধুরী, ভাষাবিজ্ঞানী।

– মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মননশীল প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ।

– এএফএম আবদুল আলীম চৌধুরী, চিকিৎসক।

– আবুল খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

– ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষক ও চিকিৎসক।

– ড. ফয়জুল মহী, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক।

– গিয়াসউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক।

– আ ন ম গোলাম মোস্তফা, দৈনিক পূর্বদেশ-এর সাংবাদিক।

– আনোয়ার পাশা, কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

– ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর।

– সেলিনা পারভীন, সাংবাদিক।

– সিরাজুল হক খান, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

– এসএমএ রাশীদুল হাসান, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

– সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক।

১৯৮৪ – ধীর আলী মিয়া, বাংলাদেশি যন্ত্রবাদক, সংগীত পরিচালক ও সুরকার।

১৯৮৯ – আন্দ্রে শাখারভ, সোভিয়েত পরমাণু বিজ্ঞানী, ভিন্নমতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মী।

১৯৯৯ – আবদুল লতিফ, ভাষাসৈনিক।

২০১৮ – আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশি অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.