১৩ বছর বয়সে নিখোঁজ তরুণী, অনুসন্ধানকারী পুলিশই হলো জীবনসঙ্গী
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবার ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রোশিন আলী। তখন টেনেসির জ্যাকসনে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা টাইলার শ্রুপ, যদিও সে সময় দুজনের দেখা হয়নি। ১২ বছর পর ভাগ্য ফের তাদের মিলিয়ে দিয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর আলি স্থানীয় শেরিফ ডিপার্টমেন্টে চাকরি শুরু করেন -অবচেতনে সহকর্মী হিসেবে পাশে পান সেই শ্রুপকে, যিনি একসময় তাকে খুঁজছিলেন।
আলির বেদনাদায়ক শৈশবের কাহিনি শুনে শ্রুপ হঠাৎ টের পান, তিনি সেই একই কেসের অংশ ছিলেন। শ্রুপ নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘আমরা সময় ও জায়গাগুলো মিলিয়ে দেখলাম। তখন বুঝলাম-আমি তো সেই টিমে ছিলাম।
অবিশ্বাস্য যে তখন আমি তাকে খুঁজছিলাম, আর আজ আমরা একসঙ্গে বসে আছি।’
দুজন দ্রুত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন, ২০২৪ সালের আগস্টে বাগদান হয় এবং বর্তমানে তাদের পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। আগামী বছর বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন তারা।
সামাজিক মাধ্যমে ‘রোরো নিকোল’ নামে পরিচিত আলি টিকটকে নিজের গল্প শেয়ার করেছেন।
এক ভিডিওতে তিনি শ্রুপের হাত ধরে পরিচয় দেন,‘এই সেই অফিসার, যিনি আমাকে খুঁজতে গিয়েছিলেন যখন আমি নিখোঁজ ছিলাম।’
চার পর্বে টিকটকে তিনি নিজের শৈশবের ভয়াবহ অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। ২০১০ সালে তার জুয়াড়ি বাবা টাকা হারিয়ে এসে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি মেয়েকে তার দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে বেঁধে ফেলেন।
সেই রাতে আলি ও তার ভাই জানালা ভেঙে পালান।
পরে পুলিশ এসে বাবা-মাকে আটক করে, যদিও তারা মাত্র কয়েকদিন কারাগারে ছিলেন। আলি ও তার ভাইবোনদের ফস্টার কেয়ারে পাঠানো হয়। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি।
বছর কয়েক পর শেরিফ ডিপার্টমেন্টে কাজ শুরু করলে আলি ও শ্রুপের অবিশ্বাস্য মিলন ঘটে।
আলি বলেন, ‘শ্রুপ বললেন, ‘আমি তো তোমাকে খুঁজেছিলাম।’ আমাদের দু’জনের কাছেই ঘটনাটা অবাক করার মতো ছিল, তবে আমার কাছে দারুণ লেগেছিল।’

Comments are closed.